অজু কাকে বলে?
অজু পবিত্রতা অর্জন ও নামাজ আদায়ের মাধ্যম। হাদিসে অজুকে নামাজের চাবি আখ্যা দেওয়া হয়েছে। অজুর আভিধানিক অর্থ- সৌন্দর্য, পরিষ্কার ও স্বচ্ছতা। শরিয়তের পরিভাষায় পবিত্রতা অর্জনের নিয়তে নির্দিষ্ট অঙ্গসমূহে বিশেষ নিয়মে পানি ব্যবহার করাকে অজু বলে। অজুর বিধান সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘হে মুমিনরা! যখন তোমরা নামাজের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমাদের মুখ ও হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে এবং মাথা মাসেহ করবে আর পা টাখনু (গ্রন্থি) পর্যন্ত ধৌত করবে...।’ (সুরা মায়েদা: ৬)
অজু করার দোয়া নিয়তঃ
অর্থ: পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। অজু করার সময় এ দোয়াটি পড়তে থাকা- اَللَّخُمَّ اغْفِرْلِىْ ذَنْبِى وَ وَسِّعْلِىْ فِىْ دَارِىْ وَبَارِكْ لِىْ فِىْ رِزْقِىْ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি, ওয়া ওয়াসসিলি ফি দারি, ওয়া বারিক লি ফি রিযক্বি। (নাসাঈ)
অর্থ: 'হে আল্লাহ! আমার গোনাহ মাফ করে দাও।
অযু কত প্রকার ও কি কি?
অজু তিন প্রকার: ফরজ, ওয়াজিব এবং মুস্তাহাব। নামাজের জন্য অজু ফরজ। কাবা শরিফ তওয়াফের জন্য অজু করা ওয়াজিব। গোসল ও ঘুমানোর আগে অজু করা মুস্তাহাব।
অযুর ফরজ চারটি:
- মুখমণ্ডল পরিষ্কার করা
- দুই হাতের কনুইসহ কব্জি পরিষ্কার করা
- মাথা মসেহ করা
- দুই পায়ের টাখনুসহ গোড়ালি পরিষ্কার করা
অজুর উপকারিতা
পাপের প্রভাব দূর : অজু শুধু মানুষের পাপগুলো দূর করে না; বরং দেহ-মন থেকে পাপের প্রভাব ও গ্লানি দূর করে দেয়।
মহানবী (সা.) বলেন, 'কোনো মুসলিম কিংবা মুমিন বান্দা অজুর সময় যখন মুখমণ্ডল ধুয়ে ফেলে তখন তার চোখ দিয়ে অর্জিত গুনাহ পানির সঙ্গে বা পানির শেষ বিন্দুর সঙ্গে বের হয়ে যায়।
অজু ভঙ্গের কারণ কয়টি?
- এক. পায়খানা ও পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া
- দুই. রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। ( হেদায়া : ১/১০)
- তিন. মুখ ভরে বমি করা
- চার. থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া
- পাঁচ. চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া
- ছয়. পাগল, মাতাল বা অচেতন হলে
- সাত. নামাজে উচ্চস্বরে হাসি দিলে